সরিষা ফুলের মধু
প্রকৃতির আসল স্বাদে ভরপুর বিশুদ্ধ সরিষা ফুলের মধু সুস্বাদু, পুষ্টিকর ও প্রাকৃতিক এনার্জির উৎস, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে
৳ 249 – ৳ 899Price range: ৳ 249 through ৳ 899
সরিষা ফুলের মধু হলো একটি সুপারফুড, যার রং সাধারণত সোনালি বা হালকা বাদামি, ঘ্রাণ টক-মিষ্টি সরিষা ফুলের মতো, আর ঘনত্ব স্বাভাবিকভাবেই বেশি। এই মধু খুব দ্রুতই জমে যায় (Crystalize), কারণ এতে গ্লুকোজের পরিমাণ বেশি থাকে—এটি খাঁটি মধুর স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য, ভেজালের নয়।
আমাদের সংগ্রহ করা সরিষা ফুলের মধু হলো ১০০% খাঁটি, অরিজিনাল, কাঁচা (Raw), আনফিল্টারড এবং কোনোমতেই চিনি/পানি/কেমিক্যাল-যুক্ত নয়। প্রতিটি ব্যাচ সংগ্রহ করা হয় মৌসুমের শুরুতে, যখন ফুল সবচেয়ে সতেজ এবং মৌমাছির খাবার সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক।
সরিষা ফুলের মধুর ১০–১২টি অসাধারণ উপকারিতা
১) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: কাঁচা মধুতে আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, প্রাকৃতিক এনজাইম ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান যা শরীরকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে।
২) কাশিতে দারুন উপকারী: সরিষা ফুলের মধু কাশি, গলা ব্যথা, জ্বরের পর দুর্বলতা দূর করতে দ্রুত কার্যকর।
৩) হজমশক্তি বাড়ায়: Raw Honey হজম প্রক্রিয়া সুস্থ রাখে এবং খাবার হজমে সহায়তা করে।
গ্যাস ও অম্বলের সমস্যায় দারুন কাজ করে।
৪) শক্তি বাড়ায়: প্রাকৃতিক শর্করা শরীরে তাত্ক্ষণিক এনার্জি দেয়, ক্লান্তি কমায়।
৫) ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল করে: মধুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বক পরিষ্কার করে, ব্রণ কমায়, স্কিন টোন উজ্জ্বল করে এবং বয়স কম দেখায়।
৬) হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো: মধু রক্তশর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে, রক্ত প্রবাহ বাড়ায় এবং হৃদপিণ্ডকে সুরক্ষা দেয়।
৭) ওজন কমাতে সহায়ক: গরম পানির সাথে মধু ফ্যাট বার্নিংয়ে সাহায্য করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে।
৮) মেমোরি উন্নত করে: মধুর গ্লুকোজ ও মিনারেল মস্তিষ্কের মেমোরি, মনোযোগ ও কনসেন্ট্রেশন বাড়ায়।
৯) অ্যালার্জি ও ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা: সরিষা ফুলের মধু মৌসুমি অ্যালার্জি কমায় এবং নাক-গলা পরিষ্কার রাখে।
১০) ঘুম ভালো হয়: মধু শরীরকে রিল্যাক্স করে এবং মেলাটোনিন উৎপাদন বাড়ায়, ফলে ঘুম উন্নত হয়।
১১) সর্দি, ঠাণ্ডা, শ্বাসকষ্টে উপকারী: মধুর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ শ্বাসতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
১২) অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি: জয়েন্ট পেইন বা শরীর ব্যথায় মধু উপকারী কারণ এটি ইনফ্লামেশন কমায়।
সরিষা ফুলের মধু কীভাবে সংগ্রহ করা হয়?
১) মৌসুমি ফুলের সময় মৌচাক স্থাপন
সরিষা ফুল ফোটে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময় মৌয়ালরা তাদের মৌচাক সরিষার ক্ষেতে স্থাপন করেন। কারণ মৌমাছি সরাসরি ফুল থেকেই নেকটার সংগ্রহ করে—কোনো ধরনের চিনি বা কৃত্রিম খাওয়ানো খাদ্য থেকে নয়।
২) মৌমাছিদের প্রাকৃতিক নেকটার সংগ্রহ
সরিষা ফুলে রয়েছে বিশুদ্ধ নেকটার, যা মৌমাছি শুঁড় দিয়ে সংগ্রহ করে চাকের ভেতরে এনে জমা করে। এই নেকটারই সময়ের সাথে প্রাকৃতিকভাবে মধুতে পরিণত হয়।
৩) হাইজেনিকভাবে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ
প্রতিটি মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করা হয় সম্পূর্ণ পরিষ্কার পরিবেশে—চাক কাটে, মধু প্রেস করা হয়, মোম ও মৌমাছির অংশ আলাদা করা হয়, কাঁচা মধু ফিল্টার করা হয়, কোনো গরম করা হয় না, যাতে ভিটামিন ও এনজাইম নষ্ট না হয়।
৪) কোনো চিনি বা পানি যোগ করা হয় না
আমরা মধুতে এক ফোঁটাও পানি বা চিনি মেশাই না। এটি ১০০% Raw & Unprocessed।
৫) প্রিমিয়াম গ্রেডে প্যাকেজিং
মধু সংগ্রহের পর ফুড-গ্রেড গ্লাস বা BPA-ফ্রি জারে এয়ারটাইট সিল করে প্যাক করা হয়।
সরাসরি আপনার হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত মধুর গুণগত মান অক্ষুণ্ণ থাকে।
সরিষা ফুলের মধু কীভাবে খাবেন?
- সকাল-বিকালে সেবন: ১ গ্লাস গরম পানিতে ১ চামচ সরিষা ফুলের মধু- এই কম্বিনেশন ওজন কমানো, শক্তি বৃদ্ধি, গ্যাস কমানো—সবকিছুর জন্য উপকারী।
- বাসায় ন্যাচারাল হেলথ ড্রিঙ্ক: গরম পানি,লেবুর রস, ১ চা-চামচ মধু
- মিশিয়ে পান করতে পারেন: দুধ,গরম পানি, গ্রিন টি, লেবু পানি
- শিশুদের জন্য : ১ বারের বেশি না, শুধু ½ চামচ।
- ত্বকে ব্যবহার: মধু + লেবুর রস → স্কিন গ্লো করতে সাহায্য করে, মধু + অ্যালোভেরা → ব্রণ কমায়
- রাতে ঘুমানোর আগে: ½ চামচ মধু → ঘুম উন্নত করে।
⚠️ সতর্কতা
- ১ বছরের নিচে শিশুকে মধু দেওয়া নিষেধ.
- ডায়াবেটিক রোগীদের ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন।
মধু জমে যাওয়ার কারণ কী?
সরিষা মধু খুব দ্রুত জমে যায়—এটি খাঁটি মধুর সঠিক লক্ষণ।কারণ এতে গ্লুকোজ বেশি থাকে।
জমে গেলে হালকা গরম পানিতে জার বসিয়ে দিলেই আবার
স্টোরেজ নির্দেশনা
- রোদ থেকে দূরে রাখুন
- ফ্রিজে রাখার দরকার নেই
- ঢাকনা শক্ত করে বন্ধ করুন
- শুকনা চামচ ব্যবহার করুন
| পরিমাণ |
১ কেজি ,২ কেজি ,৫০০ গ্রাম |
|---|

Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.