চিংড়ি বালাচাও
ফ্রেশ চিংড়ি, রোস্টেড মশলা ও ১০০% কেমিক্যাল-মুক্ত রেসিপিতে তৈরি সুস্বাদু চিংড়ি বালাচাও। উপকারিতা, খাবার নিয়ম, পুষ্টিগুণ ও কেন আমাদের থেকে নেবেন – সব জানতে ক্লিক করুন।
৳ 1,800
চিংড়ি বালাচাও—বাংলার ঘরে ঘরে একটি জনপ্রিয় খাবার। আর এই চিংড়ি দিয়ে তৈরি করা বালাচাও হল এক অনন্য, সুগন্ধি, মশলাদার ও রসাল ডেলিকেসি, যার উৎপত্তি মূলত আসামের গৃহস্থালি থেকে শুরু হলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশসহ পুরো উপমহাদেশে ব্যাপক জনপ্রিয়।
অনেকে বালাচাওকে ঝাল, টক, স্যাভোরি ও ডীপ ফ্লেভারের চিংড়ির পিকল হিসেবে চেনেন। দীর্ঘদিন সংরক্ষণযোগ্য, যে কোনো খাবারের সঙ্গে খাওয়া যায় এবং সামান্য পরিমাণেই ভাত বা খিচুড়িতে এনে দেয় অদ্ভুত স্বাদ।
আমাদের প্রিমিয়াম চিংড়ি বালাচাও তৈরি হয় দেশীয় তাজা চিংড়ি এবং হাতে ভাজা মশলা দিয়ে। নেই কোনো ক্ষতিকর কেমিক্যাল, নেই প্রেসারাইজড সংরক্ষণ—ঠিক ঘরোয়া রেসিপিতে তৈরি, কিন্তু প্রিমিয়াম টাচ সহ।
নিচে বিস্তারিত দেওয়া হলো চিংড়ি বালাচাও-এর উপকারিতা, খাবার নিয়ম ও কেন আমাদের প্রোডাক্টই আপনার সঠিক পছন্দ হবে।
চিংড়ি বালাচাও-এর ১০–১২টি চমৎকার উপকারিতা
১) উচ্চ প্রোটিনের সহজ উৎস
চিংড়ি হলো হাই-প্রোটিন ও লো-ফ্যাট খাবার। বালাচাও আকারে ছোট হলেও প্রোটিন সমৃদ্ধ, যা শরীরের শক্তি, মাংসপেশি উন্নয়ন ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সাহায্য করে।
২) ভাত, রুটি, খিচুড়ি—সবকিছুর সঙ্গে খেলে স্বাদের বিস্ফোরণ
অল্প পরিমাণেই খাবারের স্বাদ অনেক বাড়িয়ে দেয়। এমনকি একেবারে সাধারণ ভাতও হয়ে যায় অত্যন্ত মজাদার।
৩) দীর্ঘদিন সংরক্ষণযোগ্য
বালাচাওয়ের অন্যতম সুবিধা হলো এটি নষ্ট হয় না সহজে। তেল ও মশলার হালকা ফ্রাই প্রসেসের কারণে মাসের পর মাস ভালো থাকে।
৪) ব্যস্ত জীবনে ‘কুইক মিল’ সল্যুশন
যারা ব্যস্ত, হোস্টেলে থাকেন, অবিবাহিত, অফিসে যান—তাদের জন্য চিংড়ি বালাচাও একদম পারফেক্ট। যেকোনো সময় খাবারের সঙ্গে মিক্স করলেই প্রস্তুত।
৫) রুচিবর্ধক
মশলার ঘ্রাণ, সরষের তেল, সুগন্ধি মরিচ ও ভাজা চিংড়ির সংমিশ্রণ রুচি বাড়ায়। যারা খাবারে রুচি হারিয়েছেন বা সাধারণ খাবার পছন্দ করেন না, তাদের জন্য উপকারী।
৬) শরীরের প্রয়োজনীয় মিনারেল সরবরাহ করে
- চিংড়িতে আছে—
- সেলেনিয়াম
- আয়োডিন
- জিঙ্ক
- আয়রন
- ফসফরাস
৭) হৃদপিণ্ডের জন্য ভালো (পরিমিত সেবনে)
চিংড়িতে থাকা Omega-3 ফ্যাটি এসিড হার্টকে সুস্থ রাখে এবং খারাপ কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।
৮) হাড় ও ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করে
চিংড়ির প্রচুর কোলাজেন টিস্যু, ভিটামিন E এবং প্রোটিন ত্বক মসৃণ রাখে ও হাড়কে মজবুত করে।
৯) ভ্রমণে সেরা সঙ্গী
যারা ট্যুরে যান বা বাইরে থাকেন, তারা সহজে বহনযোগ্য এই খাবারটি সঙ্গে রাখলে যেকোনো সময় সিম্পল খাবারকে স্পেশাল বানাতে পারেন।
১০) শিশুর খাবারের স্বাদ বাড়াতে সহায়ক (সামান্য পরিমাণে)
যেসব বাচ্চারা ভাত-ডাল খেতে চায় না, অল্প পরিমাণ চিংড়ি বালাচাও দিলে খাবার সুস্বাদু হয়ে ওঠে।
১১) ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
মশলাদার স্বাদ পেট ভরায় ও অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমায়, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।
১২) খাবারের সঙ্গে কম্বিনেশন অপশন প্রচুর
চিংড়ি বালাচাও —
ভাত, পোলাও, খিচুড়ি, রুটি, পরোটা, ভাজা ভাত, স্যান্ডউইচ, নুডলস, সালাদ সবকিছুর সঙ্গে যায়।
চিংড়ি বালাচাও-এর খাবার নিয়ম
১) ভাতের সঙ্গে: গরম ভাতের সঙ্গে ১–২ চামচ বালাচাও মিক্স করলেই হয়ে যায় পারফেক্ট খাবার।
২) খিচুড়ির সঙ্গে: আলাদা কোনো তরকারি ছাড়াও খিচুড়ির সঙ্গে চমৎকার মানায়।
৩) রুটি/পরোটা/লুচি: সকালের নাশতায় রুটির সঙ্গে খেতে দারুণ সুস্বাদু।
৪) নুডলস ও পাস্তার সঙ্গে: সামান্য মিক্স করলেই ফ্লেভার ডাবল হয়ে যায়।
৫) ভাজা ভাত (Fried Rice): ১ টেবিল চামচ বালাচাও মিক্স করলে মজাদার ফিউশন স্বাদ পাওয়া যায়।
৬) সালাদের টপিং: শসা, গাজর, লেটুস সালাদের উপর টপিং হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
৭) ট্রাভেল ফুড হিসেবে: একটু আলু ভর্তা ও বালাচাও — ভ্রমণে এর চেয়ে ভালো কম্বো আর হয় না!
⚠️ সতর্কতা
অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত খাবার খেলে কোলেস্টেরল সচেতন থাকতে হবে। ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে কম পরিমাণ দিন। সঠিকভাবে সংরক্ষণ করা জরুরি।
✅ পুষ্টিগুণ (প্রতি ১০০ গ্রাম বালাচাও)
- প্রোটিন
- সেলেনিয়াম
- আয়োডিন
- আয়রন
- Omega-3
- ভিটামিন E
- ফাইবার (মশলা থেকে)
- জিঙ্ক
✅ স্টোরেজ নির্দেশনা
- ঢাকনা শক্ত করে বন্ধ রাখুন
- রোদ/আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখুন
- রেফ্রিজারেটরে রাখলে মেয়াদ আরও বেড়ে যায়
- শুকনা চামচ ব্যবহার করুন

Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.