বিটরুট পাউডার
Organic বিটরুট পাউডার – ১০০% খাঁটি, কেমিক্যাল-মুক্ত। রক্তবর্ধক, স্ট্যামিনা বুস্ট, স্কিন গ্লো, হার্ট কেয়ার ও ডিটক্সের জন্য আদর্শ। উপকারিতা, খাবার নিয়ম ও কেন আমাদের থেকে নেবেন জানতে এখানে পড়ুন।
৳ 1,600
বিটরুট পাউডার —প্রকৃতির দেওয়া এক অসাধারণ সুপারফুড, যা শত বছর ধরে শক্তি, রক্তবর্ধক গুণ ও রোগ প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। আধুনিক যুগে ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে প্রতিদিন কাঁচা বিট খাওয়া অনেকের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে। ঠিক সেই সমস্যার সমাধানেই এসেছে বিটরুট পাউডার, যা ১০০% প্রাকৃতিক বিটকে ডিহাইড্রেট করে তৈরি। সংরক্ষণে সহজ, ব্যবহারেও সুবিধাজনক এবং পুষ্টিগুণেও সমান সমৃদ্ধ।
আমাদের প্রিমিয়াম গ্রেড বিটরুট পাউডার বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছে যারা হেলথ-কনশাস, ফিটনেস লভার, নারী-পুরুষ সব বয়সের মানুষের জন্য। কোনো কেমিক্যাল, কালার, অ্যাডেড সুগার বা প্রিজারভেটিভ ছাড়া সম্পূর্ণ অর্গানিক পদ্ধতিতে তৈরি।
বিটরুট পাউডারের ১০–১২টি অসাধারণ উপকারিতা
১) রক্তশূন্যতা ও আয়রন ঘাটতি পূরণে সহায়ক
বিটরুটে থাকা প্রাকৃতিক আয়রন ও ফলিক অ্যাসিড রক্তে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে কার্যকর। যারা অ্যানিমিয়ায় ভোগেন বা শরীরে ক্লান্তি অনুভব করেন, তাদের জন্য এটি একটি দারুণ প্রাকৃতিক সাপ্লিমেন্ট।
২) হার্টের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ
বিটরুট পাউডার শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড বাড়াতে সাহায্য করে, যা রক্তনালীকে নরম ও প্রশস্ত করে। এতে হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও ব্লকেজের ঝুঁকি কমে।
৩) ব্যায়ামের পারফরম্যান্স ও স্ট্যামিনা বাড়ায়
অনেক অ্যাথলিট বিটরুটকে “ন্যাচারাল প্রি-ওয়ার্কআউট” বলে থাকেন। এটি শরীরকে দ্রুত এনার্জি দেয়, ক্লান্তি কমায়, মাংসপেশির সহনশীলতা বাড়ায় এবং ব্যায়ামে পারফরম্যান্স উন্নত করে।
৪) লিভার ডিটক্সে কার্যকর
বিটরুটের বিটেইন লিভারকে ক্ষতিকর টক্সিনমুক্ত করে। যারা অয়েলি ফুড খান, ধূমপান করেন বা লিভার ক্লান্তি অনুভব করেন তাদের জন্য খুব উপকারী।
৫) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
বিটরুটের প্রাকৃতিক নাইট্রেট রক্তপ্রবাহ উন্নত করে এবং নিয়ন্ত্রণে রাখে উচ্চ রক্তচাপ।
৬) ত্বক উজ্জ্বল ও গ্লোয়িং রাখতে সাহায্য করে
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন-C সমৃদ্ধ বিটরুট পাউডার স্কিনে কোলাজেন উৎপাদন বাড়ায়। নিয়মিত খেলে ত্বক উজ্জ্বল হয়, ব্রণ-দাগ কমে, এবং স্কিন টোন সুন্দর হয়।
৭) ওজন কমাতে সহায়ক
লো-ক্যালোরি এবং হাই-ফাইবার হওয়ায় এটি দ্রুত পেট ভরায় এবং মেটাবলিজম বাড়ায়। ওজন কমানোর ডায়েটে দারুণ কার্যকর।
৮) হজমশক্তি উন্নত করে
এতে আছে প্রাকৃতিক ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় এবং ডাইজেস্টিভ সিস্টেম ঠিক রাখে।
৯) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটালেইন ও ভিটামিনে ভরপুর বিটরুট শরীরকে ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে।
১০) ব্রেইন হেলথ উন্নত করে
নাইট্রিক অক্সাইড মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বাড়ায়, মেমোরি ও মনোযোগ শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
১১) হরমোন ব্যালান্সে সাহায্য করে (বিশেষত নারীদের জন্য)
বিটরুটের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট হরমোন নিয়ন্ত্রণে ইতিবাচক ভূমিকা রাখে, যার ফলে পিরিয়ডের অনিয়ম, ক্লান্তি ও মুড-সুইং কমে।
১২) অ্যাজিং প্রতিরোধ করে
বিটালেইন ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট স্কিন-সেল পুনর্জন্ম বাড়ায় যা সময়ের আগে বুড়িয়ে যাওয়া রোধ করে।
✅ কীভাবে খেলে সবচেয়ে ভালো ফল পাবেন? (খাবার নিয়ম)
প্রতিদিন ১ চা-চামচ : চাইলে দিনে ২ বার নিতে পারেন (সকাল ও বিকালে)
পানীয় হিসেবে: ১ গ্লাস পানি/গরম পানি তে ১ চামচ বিটরুট পাউডার
ভালোভাবে মিক্স করে খেতে হবে।
মর্নিং ডিটক্স ড্রিঙ্ক: গরম পানি + লেবুর রস + ১ চা-চামচ বিটরুট পাউডার স্মুদি / জুসে: দুধ / দই / কলা স্মুদিতে ১ চা-চামচ মিক্স করুন।
ওয়ার্কআউটের আগে: ব্যায়ামের ৩০ মিনিট আগে বিটরুট পাউডার খেলে স্ট্যামিনা অনেক বাড়ে।
স্কিন কেয়ার (মাস্ক): সামান্য পানি বা গোলাপজলে মিশিয়ে মুখে লাগালে স্কিন গ্লো বাড়ে।
⚠️ সতর্কতা
গর্ভবতী/দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত/অতিরিক্ত লো-BP থাকলে ডাক্তারি পরামর্শ নিন। অতিরিক্ত খাবেন না।
✅ যাদের জন্য সবচেয়ে বেশি উপকারী
- যারা আয়রন ঘাটতিতে ভোগেন
- ফিটনেস লভার / জিম-গোয়ার
- উচ্চ রক্তচাপ বা হার্ট কেয়ার করেন
- স্ট্যামিনা কম, দ্রুত ক্লান্তি অনুভব করেন
- স্কিন ও হেয়ার কেয়ারে প্রাকৃতিক কিছু চান
- ওজন কমানোর ডায়েটে আছেন
- ছাত্র/চাকরিজীবী (ফোকাস ও এনার্জি বাড়াতে)
✅ পুষ্টিগুণ (প্রতি ১০০ গ্রাম)
- আয়রন
- ভিটামিন C
- ভিটামিন B9 (ফলিক অ্যাসিড)
- ফাইবার
- বিটালেইন
- ম্যাগনেশিয়াম
- পটাশিয়াম
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
✅ স্টোরেজ নির্দেশনা
- ঠান্ডা ও শুকনা স্থানে রাখুন
- সরাসরি রোদে রাখবেন না
- প্যাক খুলে ব্যবহারের পর চিপ-সিল ঠিকভাবে লাগিয়ে রাখুন।

Reviews
Clear filtersThere are no reviews yet.